সোনালি আঁশখ্যাত ফসল পাটের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার কৃষকরা সোনালি আঁশের স্বপ্ন দেখছেন। অল্প খরচে কম সময়ে বেশি লাভের আশায় কৃষকদের পাটচাষের আগ্রহ বেড়েছে।
গত ৩ বছর যাবৎ পাটের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষক পাটচাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন। অনেক কৃষক বলছেন, পাটচাষিদের সুদিন ফিরেছে। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় বিভিন্ন গ্রামের জমিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ব্যাপকভাবে পাটের আবাদ হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, দেশি ১২০ হেক্টর, তোষা ৫৭০ হেক্টর, কেনাফ ৮৬৫ হেক্টর ও মেস্তা জাতীয় পাট আবাদ হয়েছে ১৫ হেক্টর জমিতে।
সরেজমিন উপজেলার পূর্নিমাগাঁতী, পঞ্চক্রোশী, দুর্গানগর, সলপ, হাটিকুমরুল, রড়হর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া, পূর্বদেলুয়া, ব্রম্মকপালিয়া গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মাঠে মাঠে চোখ জোড়ানো সবুজের সমারোহ। চারিদিকে শুধু পাটক্ষেত। সামান্য বাতাসে দুলছে পাটের কচি ডগা।
উপজেলার বড়হর ইউনিয়নে পাগলা গ্রামের কৃষক এসএম নাসির উদ্দিন জানান, এ বছর ৩ বিঘা জমিতে পাটচাষ করেছি। প্রতিবিঘা জমিতে পাটচাষ বাবদ বীজ, সার, কীটনাশক, পরিচর্যা ও আনুষঙ্গিক খরচসহ রোদে শুকিয়ে ঘরে তোলা পর্যন্ত খরচ হয় ১৩ থেকে ১৪ হাজার টাকা। বিঘায় পাট উৎপাদন হয় প্রায় ১০ মণ। প্রতি বিঘায় বছরে ১৬ হাজার টাকা লাভ হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার সুবর্ণা ইয়াসমীন সুমী বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের পাটের আবাদ হয়েছিল ১৬২০ হেক্টর। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে অর্জন হয়েছে ১৬৫০ হেক্টর। উল্লাপাড়া উপজেলায় দেশি মেস্তা কেনাফ জাতের পাটের চাষাবাদ হয়। প্রণোদনার কর্মসূচির আওতায় খরিপ-১ মৌসুমে ২৯০ চাষিকে পাটের প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে।
প্রতিজন কৃষক প্রতিবিঘা চাষাবাদের জন্য এক কেজি করে বীজ সহায়তা দেয়া হয়। কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর উল্লাপাড়ার পক্ষ থেকে চাষাবাদের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কৃষকদের পাশে থেকে কারিগরি সহায়তা ও পরামর্শ দিয়ে থাকে।
টিএইচ